নাই কিরে সুখ সারমর্ম

নাই কিরে সুখ সারমর্ম

“নাই কিরে সুখ সারমর্ম” – এই প্রশ্নটির উত্তর নির্ভর করে সুখের সংজ্ঞার উপর। সুখের বিভিন্ন ধারণা প্রচলিত রয়েছে:

১) ক্ষণস্থায়ী আনন্দ: কিছু লোক সুখকে ক্ষণস্থায়ী আনন্দের সাথে সম্পর্কিত করে। এই ধারণা অনুসারে, সুস্বাদু খাবার খাওয়া, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো, বা একটি উপহার পাওয়া – এগুলো সুখের উদাহরণ।

২) দীর্ঘস্থায়ী তৃপ্তি: অন্যরা সুখকে দীর্ঘস্থায়ী তৃপ্তি হিসেবে দেখে। এই ধারণা অনুসারে, অর্থপূর্ণ কাজ করা, অন্যদের সাহায্য করা, বা নিজের লক্ষ্য পূরণ করা – এগুলো সুখের উদাহরণ।

৩) মনের শান্তি: কিছু লোক সুখকে মনের শান্তির সাথে সম্পর্কিত করে। এই ধারণা অনুসারে, ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা প্রার্থনা – এগুলো সুখের উদাহরণ।

৪) জীবনের অর্থ: আরও কিছু লোক সুখকে জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া হিসেবে দেখে। এই ধারণা অনুসারে, নিজের অস্তিত্বের উদ্দেশ্য বোঝা এবং সে অনুসারে জীবনযাপন করা – এগুলো সুখের উদাহরণ।

“নাই কিরে সুখ সারমর্ম” প্রশ্নটির প্রেক্ষাপটে:

এই প্রশ্নটি কেবল সুখের সংজ্ঞা নিয়েই প্রশ্ন তোলে না, বরং এর সারমর্ম সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করে। সুখ কি কেবল ক্ষণস্থায়ী আনন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? নাকি এর চেয়েও বেশি কিছু?

এই প্রশ্নের কোন একক উত্তর নেই। কারণ সুখ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। একজনের জন্য সুখের উৎস হতে পারে অন্যজনের জন্য দুঃখের কারণ।

তবে, কিছু জিনিস সকলের জন্য সুখের কারণ হতে পারে। যেমন:

  • ভালোবাসা: পরিবার, বন্ধুবান্ধব, এবং প্রিয়জনের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক সুখের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
  • কৃতজ্ঞতা: নিজের জীবনে যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা সুখের অনুভূতি বাড়াতে পারে।
  • উদ্দেশ্যবোধ: জীবনে অর্থপূর্ণ কাজ করা এবং লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করা সুখের অনুভূতি দান করতে পারে।
  • শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: ভালো স্বাস্থ্য এবং মানসিক প্রশান্তি সুখের অনুভূতি বাড়াতে পারে।

শেষ কথা:

সুখের সারমর্ম নির্ভর করে ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা এবং অভিজ্ঞতার উপর। তবে, উপরে উল্লেখিত জিনিসগুলো সকলের জন্য সুখের কারণ হতে পারে।

আরোও পড়ুনঃ   আমার পথ প্রবন্ধ অনুযায়ী খুব বেশি বিনয় আমাদের কি করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *