নোলক কবিতার মূলভাব ও সারমর্ম পড়ুন (class 7)

আপনি যদি নোলক কবিতার মূলভাব ও নোলক কবিতার সারমর্ম খুজে থাকেন তাহলে আজকের পোষ্ট শুধুমাত্র আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। এখানে আমরা class 7 এর বই এ লেখা নোলক কবিতার মূলভাব শেয়ার করা হবে। চলুন শুরু করা যাক

নোলক কবিতার মূলভাব: বিস্তারিত আলোচনা

মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ:

“নোলক” কবিতা কেবল মাতৃস্নেহের প্রতিচ্ছবি নয়, বরং এটি মায়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও স্নেহের এক অসাধারণ কবিতা।

মায়ের অলংকার নোলক:

কবিতাটিতে “নোলক” শুধু একটি অলংকার নয়, বরং এটি মায়ের স্নেহ, ভালোবাসা, মমতা, ত্যাগ, এবং আত্মত্যাগের প্রতীক। কবির কাছে মায়ের নোলক মায়ের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি, সুরক্ষা, এবং আশ্রয়ের প্রতীক।

মায়ের মুখের সৌন্দর্য:

কবির মনে হয় মায়ের নোলক ছাড়া মায়ের মুখ অসম্পূর্ণ। মায়ের নোলক মায়ের মুখের সৌন্দর্য বর্ধিত করে এবং মায়ের মুখকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

মায়ের স্মৃতি:

কবির মায়ের নোলকের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। মায়ের স্পর্শ, মায়ের ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ, মায়ের গান – সবকিছুই কবি মনে করেন মায়ের নোলকে।

মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা:

কবি তার মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। মায়ের ত্যাগ, মায়ের ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ – সবকিছুর জন্য কবি কৃতজ্ঞ।

কবিতার শেষে কবি মায়ের নোলক হারিয়ে ফেলেন।

কিন্তু মায়ের নোলক হারিয়েও কবি মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ হারান না। বরং কবির মনে মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ আরও দৃঢ় হয়।

কবিতার ভাষা:

“নোলক” কবিতার ভাষা সহজ ও সরল। কবি সহজবোধ্য ভাষায় মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা অভিব্যক্ত করেছেন।

কবিতার ছন্দ:

“নোলক” কবিতার ছন্দ মুক্ত। কবি নির্দিষ্ট কোন ছন্দের বাঁধনে আবদ্ধ না থেকে মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।

কবিতার তাৎপর্য:

“নোলক” কবিতা মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের একটি অসাধারণ কবিতা। এই কবিতা আমাদের মনে মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

আরোও পড়ুনঃ   নাল ভেক্টরের সুনির্দিষ্ট দিক নেই কেন

মায়ের মুখের সৌন্দর্য:

কবির মনে হয় মায়ের নোলক ছাড়া মায়ের মুখ অসম্পূর্ণ।

মায়ের নোলক মায়ের মুখের সৌন্দর্য বর্ধিত করে এবং মায়ের মুখকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

কবি বলেন:

নোলক ছাড়া মায়ের মুখ মনে হয় অসম্পূর্ণ নোলক যেন মায়ের মুখের সোনার নকশা

মায়ের স্মৃতি:

কবির মায়ের নোলকের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

মায়ের স্পর্শ, মায়ের ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ, মায়ের গান – সবকিছুই কবি মনে করেন মায়ের নোলকে।

কবি বলেন:

মায়ের নোলকে ছুঁলে মনে হয় মায়ের হাতের স্পর্শ মায়ের নোলকে শুনি মনে হয় মায়ের মধুর গান

মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা:

কবি তার মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।

মায়ের ত্যাগ, মায়ের ভালোবাসা, মায়ের স্নেহ – সবকিছুর জন্য কবি কৃতজ্ঞ।

কবি বলেন:

মায়ের নোলকের জন্য মা তোমাকে ধন্যবাদ তুমি দিয়েছ আমায় মায়ের স্নেহের আশ্রয়

কবিতার শেষে কবি মায়ের নোলক হারিয়ে ফেলেন।

কিন্তু মায়ের নোলক হারিয়েও কবি মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ হারান না।

বরং কবির মনে মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ আরও দৃঢ় হয়।

কবি বলেন:

নোলক হারিয়েছি কিন্তু হারায়নি মায়ের ভালোবাসা মায়ের নোলকের স্মৃতি চিরকাল থাকবে আমার মনে

কবিতার ভাষা:

“নোলক” কবিতার ভাষা সহজ ও সরল।

কবি সহজবোধ্য ভাষায় মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা অভিব্যক্ত করেছেন।

কবিতার ছন্দ:

“নোলক” কবিতার ছন্দ মুক্ত।

কবি নির্দিষ্ট কোন ছন্দের বাঁধনে আবদ্ধ না থেকে মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।

কবিতার তাৎপর্য:

“নোলক” কবিতা মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের একটি অসাধারণ কবিতা।

এই কবিতা আমাদের মনে মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।

উদাহরণ:

  • “মায়ের নোলক হারাইনি হারিয়েছি নোলকের সোনার নকশা” – এই লাইনের মাধ্যমে কবি মায়ের নোলকের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
  • “মাথায় হাত বুলিয়ে মা বললেন, ‘নোলক আমার হারিয়ে গেছে'” – এই লাইনের মাধ্যমে কবি মায়ের ত্যাগ ও স্নেহের কথা তুলে ধরেছেন।
আরোও পড়ুনঃ   ১ গজ কত ফুট

নোলক কবিতার সারমর্ম

মূল ভাব:

  • নারীর সৌন্দর্য ও গর্বের প্রতীক: কবিতাটিতে নোলককে নারীর সৌন্দর্য ও গর্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
  • ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিদর্শন: নোলক কেবল অলংকার নয়, এটি বাঙালি নারীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিদর্শন।
  • মায়ের প্রতি ভালবাসা: কবিতাটিতে কবির মায়ের প্রতি গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশিত হয়েছে।
  • নারীর মর্যাদার প্রতীক: নোলক কেবল অলংকার নয়, এটি নারীর মর্যাদার প্রতীক।

বিশ্লেষণ:

  • কবিতাটিতে নোলকের বিভিন্ন রূপ ও বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
  • কবি নোলকের সাথে তার মায়ের স্মৃতির সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
  • কবিতাটিতে নারীর প্রতি কবির শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান প্রকাশিত হয়েছে।
  • কবিতাটিতে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি গর্বের ভাব ফুটে উঠেছে।

উপসংহার:

নোলক কবিতাটি কেবল একটি অলংকারের বর্ণনা নয়, এটি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মর্যাদা ও কবির মায়ের প্রতি ভালবাসার প্রতীক।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইন:

  • “নোলক নোলক করে রে, মায়ের হাসি ফুটে ওঠে।”
  • “নোলকের ঝলকে রে, আলোয় ঝলমলে করে।”
  • “নোলকের টানে রে, মনটা টানে টানে।”
  • “নোলকের গানে রে, মায়ের গান ভাসে।”

উল্লেখ্য:

  • কবিতাটি সপ্তম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত।
  • কবি আল মাহমুদ এই কবিতাটি রচনা করেছেন।

আশা করি আজকের পোষ্ট পড়ার মাধ্যমে আপনারা সবাই এই নোলক কবিতার মূলভাব ও নোলক কবিতার সারমর্ম বুঝে গেছেন। এরপরেই এই কবিতার মূল্ভাব বা নোলক কবিতার সারমর্ম বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *