প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য আজকের পোষ্টে আমরা খুব সহজ ভাষায় এই প্রতিদান কবিতার মূলভাব শেয়ার করব। তো তাহলে চলো এখন আমরা সবাই মিলে আজকের প্রতিদান কবিতার মূলভাব নিয়ে আলচনা শহুরুকরে দেই।
প্রতিদান কবিতার মূলভাব
মূলভাব:
“প্রতিদান” কবিতাটিতে জসীম উদ্দিন মানব জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও সার্থকতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। কবিতাটির মূলভাব হলো:
মানুষ যখন পরোপকার করে, তখন তার মনে এক অপূর্ব সুখের অনুভূতি জাগ্রত হয় এবং তার জীবন সার্থকতা লাভ করে।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
কবি কবিতাটিতে বলছেন যে, মানুষ যখন অন্যের উপকার করে, তখন সে নিজের সুখের কথা ভুলে অন্যের সুখের জন্য কাজ করে। এই কাজের মাধ্যমে সে ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ করে এবং তার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করে। অন্যদিকে, যখন মানুষ প্রতিদানের আশায় অন্যের উপকার করে, তখন তার মনে সুখের পরিবর্তে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। কারণ, প্রতিদান সবসময় আশা অনুযায়ী হয় না।
কবি কবিতাটিতে আরও বলছেন যে, মানুষের উচিত পরোপকারের মনোভাব নিয়ে জীবনযাপন করা। এতেই মানুষের জীবনে সত্যিকারের সুখ ও সার্থকতা লাভ হবে। কবির মতে, পরোপকারী মানুষ ঈশ্বরের প্রিয়। ঈশ্বর তাদের সাহায্য করেন এবং তাদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি দান করেন।
উদাহরণ:
কবি কবিতাটিতে একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলছেন,
“যে ফুল গাছে ফোটে, সে ফুল যদি বলে,
‘আমি ফুটেছি কেবল তোমার জন্য’,
তবে সে ফুলের কোনো মূল্য নেই।”
কবির বক্তব্য অনুযায়ী, যে ফুল গাছে ফোটে, সে ফুল সকলের জন্য ফোটে। ফুলের সৌন্দর্য সকলেই উপভোগ করতে পারে। ফুল যদি কেবল একজনের জন্য ফোটে, তবে তার সৌন্দর্য সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
বিবরণ:
কবি কবিতাটিতে বিভিন্ন অলঙ্কার ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে রূপক, উপমা, প্রতীক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কবির ভাষা সহজ ও সাবলীল। তাঁর ভাব প্রকাশ স্পষ্ট ও সাবলীল।
উপসংহার:
“প্রতিদান” কবিতাটি একটি শিক্ষামূলক কবিতা। এই কবিতাটি মানুষকে পরোপকারের মনোভাব নিয়ে জীবনযাপন করার শিক্ষা দেয়। কবিতাটির মূলভাব হলো, প্রতিদানে নয়, পরোপকারের মধ্যেই রয়েছে সত্যিকারের সুখ ও মানব জীবনের সার্থকতা।
পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলার জন্য:
উপরে “প্রতিদান” কবিতাটির মূলভাব, বিস্তারিত ব্যাখ্যা, উদাহরণ, বিবরণ এবং উপসংহার আলোচনা করা হয়েছে। এই আলোচনায় পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও তথ্য:
- কবি: জসীম উদ্দিন
- কাব্যগ্রন্থ: রূপসী বাংলা
- প্রকাশকাল