বাংলা সাহিত্যের জনক কে

“বাংলা সাহিত্যের জনক” কে নিয়ে বিতর্ক আছে।

কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব কে এই সম্মান দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন:

  • চন্দ্রগুপ্ত:
    • তিনি ৮ম শতাব্দীর একজন বাঙালি বৌদ্ধ কবি।
    • তার রচিত “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্যকে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম রচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • জয়দেব:
    • তিনি ১২শ শতাব্দীর একজন বাঙালি কবি।
    • তার রচিত “গীতগোবিন্দ” কাব্যকে বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • চণ্ডীদাস:
    • তিনি ১৪শ শতাব্দীর একজন বাঙালি কবি।
    • তার রচিত “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” ও “শ্রীচণ্ডী” কাব্য বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
  • ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
    • তিনি ১৯শ শতাব্দীর একজন বাঙালি লেখক, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ।
    • তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে পরিচিত।
    • তার রচিত “বোধোদয়”“কথামালা” ও “বর্ণপরিচয়” বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত:
    • তিনি ১৯শ শতাব্দীর একজন বাঙালি কবি।
    • তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জনক হিসেবে পরিচিত।
    • তার রচিত “মেঘদূত”“বীরেন্দ্রসঙ্গীত” ও “রাধারচরিত্র” বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

কোন ব্যক্তিকে বাংলা সাহিত্যের জনক বলা হবে তা নির্ভর করে

  • কোন মানদণ্ড ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর।
  • যদি প্রাচীনতম রচনার লেখককে জনক বলা হয়, তাহলে চন্দ্রগুপ্ত বা জয়দেব এই সম্মানের যোগ্য।
  • যদি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাউকে জনক বলা হয়, তাহলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বা মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই সম্মানের যোগ্য।

অবশেষে,

  • বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসে অনেক মহান ব্যক্তিত্ব অবদান রেখেছেন।
  • কোন একজন ব্যক্তিকে “জনক” বলা যথেষ্ট নয়।
  • বরং আমাদের উচিত সকলের অবদানকে সম্মান জানানো এবং বাংলা সাহিত্যের উন্নয়নে কাজ করা।
আরোও পড়ুনঃ   আঠারো বছর বয়স দুঃসহ কেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *