আসসলামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। তো আজকের এই পোষ্টে আপনাদের সাথে আমাদের আলচনার বিষয় হলো বুকের দুধ বেশি হলে করনীয় সম্পর্কে। তাহলে আসুন বেশি অতিরিক্ত কথা না বলে আমাদের এই বুকের দুধ বেশি হলে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করে দেই।
বুকের দুধ বেশি হলে করনীয়
প্রথমত, মনে রাখবেন যে বুকের দুধ বেশি হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা এবং এর জন্য চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, সময়ের সাথে সাথে দুধের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বুকের দুধ বেশি হওয়ায় কিছু অসুবিধা হতে পারে, যেমন:
- স্তনে ব্যথা এবং ফোলাভাব
- দুধ লিক হওয়া
- স্তন্যদানের সময় ব্যথা
- মায়ের ওজন বৃদ্ধি
- শিশুর ওজন বৃদ্ধি
এই অসুবিধাগুলি প্রশমিত করার জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:
1. নিয়মিত স্তন্যদান:
আপনার শিশুকে যতটা সম্ভব বুকের দুধ খাওয়ান। প্রতিদিন ৮-১২ বার স্তন্যদানের চেষ্টা করুন।
দুই বুক থেকেই সমানভাবে স্তন্যদান করুন।
স্তন্যদানের পর, আপনার স্তন থেকে অতিরিক্ত দুধ বের করে ফেলুন হাত দিয়ে বা ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করে।
2. স্তন্য সংরক্ষণ:
আপনি যদি অতিরিক্ত দুধ পান করতে না পারেন, তাহলে তা সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজ বা ফ্রিজারে দুধ সংরক্ষণ করা যায়।
সংরক্ষিত দুধ ৬ মাস পর্যন্ত ফ্রিজে এবং ১২ মাস পর্যন্ত ফ্রিজারে রাখা যায়।
3. আরাম:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
4. ব্যথা উপশম:
আপনার স্তনে ব্যথা হলে, ঠান্ডা সেঁক বা ব্যথানাশক ব্যবহার করুন।
আপনার স্তন্যদানের অবস্থান পরিবর্তন করুন।
5. চিকিৎসকের পরামর্শ:
যদি আপনার স্তনে তীব্র ব্যথা, জ্বর বা লালভাব থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সাথে দেখা করুন।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
আপনার শিশুর ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তারা আপনাকে আরও নির্দিষ্ট পরামর্শ দিতে পারবেন।
একজন স্তন্যদান পরামর্শদাতার সাথে দেখা করুন। তারা আপনাকে স্তন্যদানের বিভিন্ন অবস্থান এবং কৌশল শিখতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যান্য স্তন্যদানকারী মায়েদের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনাকে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে এবং সমর্থন দিতে পারে।
মনে রাখবেন, প্রতিটি মা এবং শিশু আলাদা। আপনার জন্য কি কাজ করে তা খুঁজে বের করার জন্য কিছু সময় লাগতে পারে। ধৈর্য ধরুন এবং হাল ছাড়বেন না।