রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে অ্যারিস্টটল-কে বিবেচনা করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২ অব্দে জীবিত এই প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতির উপর ব্যপকভাবে লিখেছিলেন।

তার বিখ্যাত রচনা “পলিটিকা” রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং এখনও আজও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়।

অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রকে মানুষের সর্বোচ্চ রূপ হিসাবে দেখেছিলেন এবং রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হলো “সাধারণ ভাল” অর্জন করা। তিনি বিভিন্ন ধরণের সরকার ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করেছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন যে “মিশ্র শাসন” (যেখানে রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র এবং গণতন্ত্রের উপাদানগুলি একত্রিত করা হয়) সবচেয়ে স্থিতিশীল।

অবশ্যই, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে অ্যারিস্টটলের আগে এবং পরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদ ছিলেন।

  • সক্রেটিস রাজনৈতিক জিজ্ঞাসার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন,
  • প্লেটো আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা তৈরি করেছিলেন,
  • মাচিয়াভেলি রাষ্ট্রের বাস্তব রাজনীতি বিশ্লেষণ করেছিলেন,
  • হবসলক এবং রুশো সামাজিক চুক্তির ধারণা বিকশিত করেছিলেন।

তবে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি সুগঠিত শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য অ্যারিস্টটলের অবদান অপরিসীম।

আরোও পড়ুনঃ   মেল মানে ছেলে না মেয়ে: বিস্তারিত আলোচনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *