আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী তুমি কি বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়নরত আছ? উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের শুরুর দিকের গল্পটির নামই হচ্ছে অপরিচিতা । যার কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই অপরিচিতা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর এবং অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর গুলো জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকে।
তো তোমরা যারা অপরিচিতা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর এবং এই অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরগুলো জানতে ইচ্ছুক রয়েছ তারা আজকের পোস্ট শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়তে থাকবে।
এখানে আমরা ১০০ টির ও অধিক জ্ঞান মূলক প্রশ্ন ও উত্তর তোমাদেরকে দিয়ে দেব। আমরা এখানে সেই সমস্ত অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে এসেছি যেগুলো পরীক্ষায় আসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অপরিচিতা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
নিচে অনেকগুলো অপরিচিতা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেওয়া হলো। এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর গুলোই তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি Mcq কমন পাওয়ার জন্যও তোমরা এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালোভাবে পরবে।
০১. বিনু দাদা কে?- অনুপমের পিসততো ভাই।
০২. মেয়ের পিতার নাম- শম্ভুনাথ সেন/বাবু।
০৩. কার মুখ অনর্গল ছুটছিল- মামার।
০৪. “তবু ইহার একটি বিশেষ মূল্য আছে ” উক্তিটি- অনুপমের।
০৫. পণ্ডিত মশাই অনুপমকে তুলনা করেছেন- শিমুল ফল ও মাকাল ফলের সাথে।
০৬. অনুপমের বাবা কী করে প্রচুর টাকা রোজগার করত?- ওকালতি।
০৭. মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করেছেন কল্যাণী।
০৮. আমি বিবাহ করব না বললেন কল্যাণী।
০৯. মামা অনুপমদের সংসার টাকে কিসের মতো নিজের অন্তরের মধ্যে শুষিয়া লইয়াছেন- ফাল্গুর বালির মত।
১০. মামার অস্থিমজ্জায়য় কী জড়িত?- টাকার প্রতি আসক্তি।
১১. কে কানপুরে কাজ করে- হরিশ।
১২. হরিশ ছুটিতে কোথায় এসেছিল- কলকাতা।
১৩. কিন্তু কথা এমন করিয়া ফুরাইল না উক্তিটি- অনুপমের।
১৪. কতক্ষণ পরে গাডটি আসিল- দুই তিন মিনিট পর।
১৫. স্টেশনে দেখা মেয়েটির বয়স?- ১৬ বা ১৭।
১৬. মেয়েটির সাথে কয়টি ছোটো ছোটো মেয়ে ছিল- দুটি তিনটি।
১৭. কিছুদিন পূর্বেই অনুপম কী পাস করেছে- এম.এ. (MA)।
১৮. একে তো বরের হাট মহার্ঘ তাহার পরে?- ধনুক ভাঙ্গা পণ।
১৯. বাপ কেবলই সবুর করিতেছেন কিন্তু সবুর করিতেছে না- মেয়ের বয়স।
২০. হরিশের কেমন গুণ আছে?- সরস রচনার।
২১. কলিকাতার বাইরের পৃথিবীটাকে মামা কীসের অন্তর্গত জানেন?- আন্ডামান দ্বীপ।
২২. ‘অপরিচিতা’ গল্পের কথক- অনুপম।
২৩. মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাঁহার কাছে গুরুতর।
২৪. শম্ভুনাথ বাবু কখন অনুপমকে প্রথম দেখেন- বিবাহের তিন (৩) দিন আগে।
২৫. কার বয়ম ৪০ এর কিছু ওপারে বা এপারে- শম্ভুনাথ বাবুর।
২৬. কার চুল কাঁচা, গোঁফে পাক ধরা আরম্ভ হয়েছে- মাত্র শম্ভুনাথ বাবুর।
২৭. মামা কাকে সুদ্ধ এনেছিল- স্যাকরাকে।
২৮. মামা কোথায় গহনাগুলোর ফর্দ টুকিয়া লইলেন- নোট বইয়ে।
২৯. “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই” উক্তিটি- শম্ভুনাথ বাবুর।
৩০. “কারণ, প্রমাণ হইয়া গেছে, আমি কেউই নই” উক্তিটি- অনুপমের।
৩১. “তাহা হইলে তামাশার যেটুকু বাকি আছে তাহা পুরা হইবে” উক্তিটি- হিতৈষীদের।
৩২. সমস্ত মন কার পানে ছুটিয়া গিয়াছিল- অপরিচিতায়।
৩৩. খাবার ওয়ালাকে ডেকে সে খুব খানিকটা কী কিনল?- চানা মুঠ।
৩৪. অপরিচিতা’ গল্পটি বর্ণিত হয়েছে- উত্তম পুরুষের জবানিতে।
৩৫. অপরিচিতা গল্পে দেওয়া থোওয়ার বিষয়টি ব্যবহৃত হয়েছে- বিয়ের যৌতুক ও আনবুষঙ্গিক খরচ বোঝাতে।
৩৬. জীবনে একবার বিশেষ কাজে কোন পর্যন্ত গিয়েছিলেন- কোন্নগর। ৩৭. কার রুচি এবং দক্ষতার উপর কথক/অনুপম ষোল আনা নির্ভর করতে পারে- বিদাদার।
৩৮. “মন্দ নয় হো খাঁটি সোনা বটে” উক্তিটি- বিনুদাদার।
৩৯. অনুপমের বয়স-২৭।
৪০. “এ জীবনটা না দৈর্ঘোর হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে ” উক্তিটি- অনুপমের।
৪১. ‘অপরিচিতা’ গল্পে দেওয়া খোওয়ার বিষয়টি ব্যবহৃত হয়েছে কী জন্য?উ: বিয়ের যৌতুক ও আনুষঙ্গিক খরচ বোঝাতে।
৪২. অনুপমের মা কে ছিলেন? উ: গরিব ঘরের মেয়ে।
৪৩. ধনী ঘরের মেয়ে পছন্দ করত না কে? উ: অনুপমের মামা।
৪৪. আসর জমাতে অদ্বিতীয় ছিল কে? উ: হরিশ।
৪৫. গহনাগুলো যাচাই করতে বলল কে? উ: অনুপমের মামা।
৪৬. ‘ফলের মতো গুটি’ উপমাটিতে প্রকাশ পেয়েছে কী? উঃ আক্ষেপ।
৪৭. অন্নপূর্ণা কে? উঃ দেবী দুর্গা।
৪৮. অনুপমের মামা অনুপমের চেয়ে বয়সে কয় বছরের বড়? উ: ৬ বছরের বড়।
৪৯. ধন ও ঐশ্বর্যের দেবী কে? উঃ লক্ষ্মী।।
৫০. বিয়ের সময় কল্যাণীর বয়স ছিল কত? উ: ১৫ বছর।
৫১. বিনুদাদার বর্ণনার ভাষা কী? উ: অত্যন্ত সংকীর্ণ।
৫২. গাড়ি এলো কত মিনিট পর? উঃ দুই মিনিট পর।
৫৩. অনুপমের আসল অভিভাবক কে? উ: মামা।
৫৪. মাথা হেট করে চুপ করে রইল কে? উ: অনুপম।
৫৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প রচনার স্বর্ণযুগ কোথায় ঘটেছিল? উঃ কুষ্টিয়ার শিলাইদহে।
৫৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ ছোটগল্পের নাম কি? উ: মুসলমানীর গল্প।
৫৭. অনুপমের মেনে চলার ক্ষমতা আছে কার? উ: মায়ের আদেশ।
৫৮. অনুপমের বর্তমান বয়স কত? উ: সাতাশ।
৫৯. বর যাত্রীদের খাওয়ার শেষে খেতে বললেন কাকে? উঃ অনুপমকে।
৬০. ব্যান্ড-রসনচৌকি ও কলর্ট একসঙ্গে বাজল না কখন? উ: বাড়ি ফিরবার সময়।
৬১. নির্বিঘ্নে সমাধান হয়ে গেল কি? উঃ বিবাহের ভূমিকা অংশটা।
৬২. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্প রচয়িতা কে? উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬৩. “তবু ইহার একটু বিশেষ মূল্য আছে”- উক্তিটি অনুপমের।
৬৪. অনুপমের পিতা এককালে কেমন ছিল?- গরিব।
৬৫. সেইজন্য শেষ পর্যন্ত অনুপমের পুরোপুরি কী হইল না?- বয়স।
৬৬. অনুপমের চেয়ে তার মামা কত বছরের বড়? বড়জোর বছর ছয়েক বড়। ৬৭. মামাকে ভাগ্য দেবতার এজেন্ট বলা হয়েছে কেন? মতামতের জন্য।
৬৮. “ওহে, মেয়ে যদি বল একটি খাসা মেয়ে আছে” উক্তিটি- হরিশের।
৬৯. অবকাশের মরুভূমির মধ্যে অনুপমের হৃদয় তখন বিশ্বব্যাপী কী দেখিতেছিল?- নারীরূপের মরীচিকা।
৭০. অনুপমের মন কেমন ছিল?- তৃষ্ণার্ত।
৭১. মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাগের খবরটা মামার কাছে কেমন?- গুরুতর।
৭২. “একটি মেয়ে ছাড়া তার আর নাই।” উক্তিটি কার?- হরিশের।
৭৩. হরিশের কেমন গুণ আছে?- সরস রচনার।
৭৪. জীবনে একবার বিশেষ কাজে মামা কোন পর্যন্ত গিয়েছিলেন?- কোন্নগর।
৭৫. কার রুচি এবং দক্ষতার উপর কথক/অনুপম যোল-আনা নির্ভর করতে পারে?- বিনুদাদার।
৭৬. অনুপমের ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে কার কোনো বিরোধ নেই?- পঞ্চশ্বরের।
৭৭. শম্ভুনাথ বাবু কখন অনুপমকে প্রথম দেখেন- বিবাহের তিন দিন পূর্বে।
৭৮. কার মুখ অনর্গল ছুটছিল?- মামার।
৭৯. বাবাজি, একবার এইদিকে আসতে হচ্ছে। উক্তিটি কার?- শম্ভুনাথবাবুর।
৮০. “সেই কথা তবে ঠিক” কোন কথা?- কনের গহনা যাচাই করা।
৮১. “ইহাতে খাদ নাই- এমন সোনা এখনকার দিনে ব্যবহারই হয় না।” কার উক্তি?- স্যাকরার।
৮২. গহনাগুলোর মধ্যে কী ছিল? একজোড়া এয়ারিং।
৮৩. “অনুপম, যাও, তুমি সভায় গিয়ে বসো গে।” উক্তিটি কার? মামার।
৮৪ . “ঠাট্টা করিতেছেন নাকি? কে বললেন? মামা আশ্চর্য হয়ে বললেন।
৮৫. পাক যন্ত্রটাকে সমস্ত অন্নসুদ্ধ সেখানে চান মারিয়া ফেলিয়া দিয়া আসিতে পরিলে তবে আফসোস মিটিত।” উক্তিটি কার?- বরযাত্রীদের।
৮৬. কিন্তু কথা এমন করিয়া পুরাইল না। উক্তিটি কার?- অনুপমের।
৮৭. স্টেশনে দেখা মেয়েটির বয়স কত হবে?- ষোল কি সতেরো। ৮৮. “না, আমরা গাড়ি ছাড়িব না” মেয়েটি কীভাবে বলল?- হিন্দিতে।
৮৯. কল্যানীর পিতা পেশায় কী?- ডাক্তার।
৯০. “তখন আমার বয়স ছিল তেইশ, এখন হইয়াছে সাতাশ” উক্তিটি কার?- অনুপমের।
অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
নিচে যে সমস্ত অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হয়েছে, এগুলো থেকেই তোমাদের পরীক্ষার কমন আসবে ইনশাআল্লাহ। এইগুলো পড়লে তোমরা এখান থেকে নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্ন ও কমন পাবে।
*অনুপমের কাছে চিরকালই সবচেয়ে বড় সত্য- কল্যাণীর গলার স্বর।
* কল্যাণীকে দেখে কার চোখের পলক পড়ছিল না- অনুপমের মায়ের।
• কল্যাণীর বিয়ে না করার কারণ- মাতৃ-আজ্ঞা।
* অনুপমের কাছে চিরজীবনের গানের ধুয়া যে কথাটি “জায়গা আছে।”
* অনুপম কত বছর ধরে কল্যাণীর পাশে অবস্থান করছে- ৪ বছর।
* স্টেশনে অনুপম ফেলে এসেছিল- ক্যামেরা।
* কল্যাণী চরিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে- প্রতিবাদ।
• ছেলেবেলায় পণ্ডিতমশাই অনুপমকে তুলনা করেছিলেন- শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে।
* কার রুচি ও দক্ষতার উপর অনুপমের ষোলোআনা নির্ভর ছিল- বিনু দাদার।
* বিবাহের দিন কল্যাণী পড়েছিল- লাল রঙের শাড়ি।
* অনুপমের মন পুলকে ভরে গেল, কারণ- কল্যাণী পণ করেছে সে আর বিয়ে করবে না।
* অনুপম তীর্থে গিয়েছিল মাকে নিয়ে, মামার আদেশ অমান্য করে।
* গাড়িতে আলোর নিচে সবুজ পর্দা টানা ছিল।
* স্টেশনে কুলিদের হাত থেকে বিছানাপত্র টেনে নিয়েছিল- কল্যাণী।
* ইংরেজ স্টেশন মাস্টারকে ডেকে এনেছিল- বেলওয়ে কর্মচারী।
* কুলি কুলি হাঁক ছেড়েছিল- অনুপম।
গল্পে যে সব স্থানের নাম উল্লেখ আছে- কলকাতা, কানপুর, কোন্নগর, হাবড়ার পুল, আন্দামান ও বাংলাদেশ।
* অনুপমের পিসতুতো ভাই বিনুদাদা কল্যাণীকে আশীর্বাদ করে ফিরে এসে বললেন, “মন্দ নয় হে, খাঁটি সোনা বটে।”
* “ওহে, মেয়ে যদি বল একটি খাসা মেয়ে আছে।” উক্তিটি হরিশের।
* “বাবাজি, একবার এইদিকে আসতে হচ্ছে।” এ কথা বলেছিলেন-
শম্ভুনাথ সেন।
* “ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।” উক্তিটি শম্ভুনাথের।
* “না, সভায় নয়, এখানেই বসিতে হইবে।” উক্তিটি শম্ভুনাথের।
* “ভিড়ের মধ্যে দেখিলে সকলের আগে তাঁর উপর চোখ পড়িবার মতো চেহারা।” এখানে শম্ভুনাথ বাবুর কথা বলা হয়েছে।
* “অনুপম এখানে কী করিবে। ও সভায় গিয়ে বসুক।” উক্তিটি মামার।
* “শিগগির চলে আয় এই গাড়িতে জায়গা আছে।” উক্তিটি কল্যাণীর। অনুপম এ কথা প্রথম ট্রেনে শুনেছিল।
* “মানুষের সঙ্গে দূরে দূরে থাকাই তাঁর অভ্যাস।” এখানে অনুপমের মায়ের কথা বলা হয়েছে। AR
* “যেখানে আমাদের কোনো সম্বন্ধ আছে সেখানে সর্বত্রই তিনি বুদ্ধির লড়াইয়ে জিতিবেন।” এখানে মামার কথা বলা হয়েছে।
* “এ আর দেখিব কী। ইহাতে খাদ নাই- এমন সোনা এখনকার
** দিনে ব্যবহারই হয় না।” উক্তিটি স্যাকরার।
* “ইহার গতি সহজ, দীপ্তি নির্মল, সৌন্দর্যের শুচিতা অপূর্ব, ইহার কোনো জায়গায় কিছু জড়িমা নাই।” কল্যাণীর প্রসঙ্গে কথাগুলো বলা হয়েছে।
* গল্পের নায়ক অনুপম উচ্চশিক্ষিত (এম,এ পাস)। যখন বিয়ের কথা হয়েছিল তখন তার বয়স ছিল ২৩ বছর। বর্তমানে তার বয়স ২৭ বছর।
* গল্পের নায়িকা কল্যাণীর যখন বিয়ের কথা হয়েছিল তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। বর্তমানে তার বয়স ১৯ বছর।
* অনুপমের বাবা পেশায় উকিল।
* কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ পেশায় ডাক্তার। তার বয়স চল্লিশের এপার- ওপার।
* অনুপমের বন্ধু ও বিয়ের ঘটক ছিল- হরিশ। সে অনুপমের মন. উতলা করে দিলো। সে খুব রসিক, আসর জমাতে অদ্বিতীয় ছিল এবং কানপুরে কাজ করতো। ছুটিতে সে কলকাতায় এসেছিল। মামা তাকে পেলে ছাড়তে চান না।
* অনুপমের অভিভাবক- মা ও মামা।
* অনুপম মা’র হাতে মানুষ। অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা।
* কল্যাণীর বিয়ের গহনা তার পিতামহীদের আমলের, তাই একেবারে খাঁটি।
* অনুপম স্বভাবে ‘অন্তর্মুখী, ব্যক্তিত্বহীন ও মেরুদণ্ডহীন’ এবং তার মামা ‘হীনমনা ও লোভী’।
* কানপুরে নামার সময় অনুপম ও অনুপমের মা চমকে উঠলেন- অপরিচিতার নামক মেয়েটির নাম ‘কল্যাণী’ শুনে। কল্যাণীও কানপুর স্টেশনে নেমে যায়।
* কানপুরে এসেই অনুপম জানলেন- কল্যাণী নারীশিক্ষার ব্রত গ্রহণ করেছে, আর বিয়ে করবে না।
* কলকাতার বাইরের বাকি জগতটাকে মামা আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলে জানেন। বিশেষ কাজে মামা গিয়েছিলেন- কোন্নগর।
* বিয়ে উপলক্ষে মেয়েপক্ষকে আসতে হয়েছিল- কলকাতায়। অনুপমদের বাড়ি ছিল কলকাতায়।
* মামাকে ভাগ্য দেবতার প্রধান এজেন্ট বলার কারণ- অনুপমদের পরিবারে তার প্রভাব ছিল। অনুপমের উপর তার মামার আধিপত্য ছিল।
* অনুপমের থেকে তার মামা বড়জোর ৬ বছরের বড় হবে।
* মামার মন ভার হওয়ার পেছনে অন্তর্নিহিত কারণটি হলো- বাল্যবিবাহের রীতি, অন্যদিকে মামার মন নরম হয়েছিল- মেয়ের বাবার অর্থের লোভে।
* কন্যার বাবা শম্ভুনাথ সেন পাত্রকে দেখতে যান- বিয়ের ৩ দিন পূর্বে।
* গল্পে কার মুখে কোনো কথা নেই- শম্ভুনাথ সেনের।
* বাড়ির স্যাকরাকে আনা হয়েছিল- গহনা পরখ করতে।
পরিশেষে
আজকের পোস্টে সুন্দর ভাবে তোমাদের জন্য অপরিচিতা গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর এবং অপরিচিতা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এগুলো সবগুলো পড়লে এই গল্প থেকে আসা প্রতিটা নৈর্ব্যক্তিক ও খুব সহজেই সমাধান করে ফেলতে পারবে।