অপরিচিতা গল্পের বিশেষ দিক কোনটি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত “অপরিচিতা” গল্পটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমর कृतिগল্পের বেশ কিছু বিশেষ দিক রয়েছে যা এটিকে অনন্য করে তোলে:

১) অসম্পূর্ণ প্রেমের ট্র্যাজেডি: গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে অনুপম ও কল্যাণীর অসম্পূর্ণ প্রেমের ট্র্যাজেডি

সমাজের রীতিনীতি ও প্রথার বাধার কারণে তাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণ হতে পারে না।

এই অসম্পূর্ণতা গল্পে একটি বেদনাদায়ক সৌন্দর্য যোগ করে।

২) মানবিক আবেগের চিত্রায়ণ: গল্পে মানুষের বিভিন্ন আবেগ, যেমন প্রেম, হতাশা, অনুশোচনা, त्याग, স্মৃতিচারণ ইত্যাদি চিত্রিত করা হয়েছে।

লেখক এই আবেগগুলিকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও বাস্তবসম্মতভাবে তুলে ধরেছেন।

৩) সমাজের সমালোচনা: গল্পে সমাজের রীতিনীতি ও প্রথার প্রতি সুক্ষ্ম সমালোচনা রয়েছে।

লেখক দেখান যে কীভাবে এই রীতিনীতিগুলি মানুষের জীবনে এবং বিশেষ করে নারীর জীবনে नकारात्मक প্রভাব ফেলতে পারে।

৪) ভাষার সৌন্দর্য: “অপরিচিতা” গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে সুন্দরকাব্যিক ভাষায় লেখা।

তার শব্দবাক্য গল্পের মেজাজভাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫) চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতা: “অপরিচিতা” গল্পের বিষয়বস্তু আজও চিরন্তন প্রাসঙ্গিক।

প্রেম, হতাশা, त्याग, স্মৃতি ইত্যাদি মানুষের আবেগ সকল সময়েই একই রকম থাকে।

এই কারণেই গল্পটি আজও পাঠকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।

উপসংহারে, “অপরিচিতা” গল্পটি বহুমুখীজটিল একটি সাহিত্যকর্ম

এটি পাঠকদের মানবজীবনের জটিলতা সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে এবং নিজস্ব ব্যাখ্যা তৈরি করতে উৎসাহিত করে।

আরোও পড়ুনঃ   মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভাইভা প্রশ্ন গুলো দেখে রাখুন

Leave a Comment