ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা

প্রতিটা মুসল্মানের জন্য এই ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা সম্পর্কে জানা অত্যান্ত জরুরি। কারন আমরা অনেক সময় অনেককে ওয়াদা দিয়ে থকি এবং সেই ওয়াদা ভংগ হয়ে যায়। এসময় কিন্তু আমাদের অনেক গুনাহ হয়। তো যদি আমরা ঠিকভাবে ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা আদাই করতে পারি তাহলে এর গুনাহ কিছুটা লাঘব করা সম্ভব।

ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা

ওয়াদা ভঙ্গ করা একটি গুনাহ, এবং এর জন্য কাফফারা আদায় করা উচিত। কাফফারা হলো ওয়াদা ভঙ্গের জন্য প্রায়শ্চিত্ত।

কাফফারার ধরন:

  • দশজন মিসকিনকে খাওয়ানো: ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা হলো দশজন মিসকিনকে খাওয়ানো। খাবার হতে হবে তোমরা যে খাবার নিজেরা খাও।
  • দশজন মিসকিনকে কাপড় দেওয়া: তুমি যদি খাবার দিতে না পারো, তাহলে তোমাকে দশজন মিসকিনকে কাপড় দিতে হবে। প্রত্যেককে এতটুকু কাপড় দিতে হবে যার দ্বারা নামাজ আদায় করা যায়।
  • একজন কৃতদাস মুক্তি: তুমি যদি খাবার বা কাপড় দিতে না পারো, তাহলে তোমাকে একজন কৃতদাস মুক্তি করতে হবে।

বর্তমান সময়ে কাফফারা:

বর্তমান সময়ে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ায় কৃতদাস মুক্তির মাধ্যমে আর কাফফারা দেওয়া যায় না।

কাফফারা দেওয়ার সময়:

  • কাফফারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়া উচিত।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াদা ভঙ্গ করলে দ্রুত কাফফারা আদায় করা واجب।

ওয়াদা ভঙ্গ না করার উপায়:

  • ওয়াদা করার আগে ভালোভাবে চিন্তা করা উচিত।
  • যা পূরণ করা সম্ভব তাই ওয়াদা করা উচিত।
  • ওয়াদা ভঙ্গ করার অবস্থায় পড়লে কাফফারা আদায় করার প্রস্তুতি রাখা উচিত।

মনে রাখবেন:

  • ওয়াদা ভঙ্গ করা একটি গুনাহ।
  • ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা আদায় করা উচিত।
  • কাফফারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়া উচিত।

এরপরেও যদি আপনার মনে ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা সম্পরররকে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে অবশ্যই জিজ্ঞেস করবেন।

আরোও পড়ুনঃ   মেয়েদের হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *