আঠারো বছর বয়স দুঃসহ কেন?
ক. প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণার কারণে
খ. স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকির কারণে
গ. পথের বাধা ভাঙতে চায় বলে
ঘ. বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে বলে
সঠিক উত্তর ও ব্যাখা জানতে এখানে চাপ দিন
সঠিক উত্তরঃ খ. স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকির কারণে
সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা “আঠারো বছর বয়স” তে আঠারো বছর বয়সকে দুঃসহ বলা হয়েছে কারণ এই বয়সে মানুষ বিভিন্ন রকমের দ্বন্দ্ব ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।
কবিতায় উল্লেখ করা কিছু দ্বন্দ্ব ও চ্যালেঞ্জ হল:
- পরিচয় সংকট: এই বয়সে মানুষ নিজেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। তারা বুঝতে চায় তারা কে, তাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী, এবং তাদের সমাজে কোন স্থান। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে এবং এর ফলে মানসিক চাপ ও বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে।
- স্বাধীনতা ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য: এই বয়সে মানুষ প্রায়শই বড়দের উপর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পেতে চায় এবং নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে চায়। কিন্তু একই সাথে, তাদের নতুন নতুন দায়িত্বও পালন করতে হয়, যেমন পড়াশোনা, চাকরি, এবং পরিবারের প্রতি দায়িত্ব। এই দুটি বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হতে পারে।
- আবেগের তীব্রতা: এই বয়সে মানুষের আবেগ প্রায়শই তীব্র ও অস্থির থাকে। তারা দ্রুত রাগান্বিত, হতাশ, অথবা উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে। এই আবেগগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে এবং এর ফলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সম্পর্কে ঝামেলা দেখা দিতে পারে।
- সামাজিক চাপ: এই বয়সে মানুষ তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের কাছ থেকে অনেক চাপের মুখোমুখি হয়। তারা নিজেদেরকে প্রমাণ করতে চায় এবং অন্যদের আশা পূরণ করতে চায়। এই চাপগুলো মোকাবেলা করা কঠিন হতে পারে এবং এর ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।
এই সকল দ্বন্দ্ব ও চ্যালেঞ্জের ফলে আঠারো বছর বয়স অনেকের জন্য দুঃসহ হয়ে ওঠে। তবে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি জীবনের একটি স্বাভাবিক পর্যায় এবং এই সময়ের মধ্য দিয়ে সকলেরই যেতে হয়।
কিছু টিপস যা এই বয়সের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারে:
- নিজের সাথে ধৈর্য ধরুন: মনে রাখবেন যে, আপনি একা নন এবং অন্য অনেক মানুষও এই বয়সে একই রকমের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।
- আপনার অনুভূতি সম্পর্কে কারো সাথে কথা বলুন: আপনার বাবা-মা, শিক্ষক, বন্ধু, অথবা থেরাপিস্টের সাথে কথা বলা আপনাকে আপনার অনুভূতিগুলো বুঝতে এবং মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে।
- নিজের যত্ন নিন: পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনার মানসিক ও শার
Post Views: 81