আমার পথ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে নিজেকে নিজের কর্ণধার করে তুলেছেন
“আমার পথ” প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক, মহাত্মা গান্ধী, নিজেকে নিজের কর্ণধার হিসেবে তুলে ধরেছেন নিম্নলিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করে:
১) আত্ম-অনুসন্ধান ও আত্ম-বিশ্লেষণ:
- গান্ধীজি গভীরভাবে নিজের ভাবনা, অনুভূতি ও কর্মকে বিশ্লেষণ করেছেন।
- তিনি তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এবং নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করেছেন।
- এই আত্ম-অনুসন্ধান ও আত্ম-বিশ্লেষণের মাধ্যমে তিনি নিজের সত্যিকারের স্বরূপ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
২) স্বনির্ভরতা ও আত্ম-নির্ভরতা:
- গান্ধীজি অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে চাননি।
- তিনি সবকিছু নিজে করে দেখতে চেয়েছেন এবং নিজের ভাগ্য নিজের হাতে নিতে চেয়েছেন।
- এই স্বনির্ভরতা ও আত্ম-নির্ভরতার মাধ্যমে তিনি নিজেকে শক্তিশালী করে তুলেছেন।
৩) দৃঢ় বিশ্বাস ও নীতিবোধ:
- গান্ধীজির কিছু অটল বিশ্বাস ও নীতিবোধ ছিল, যেমন সত্য, অহিংসা, aparigraha (অল্প-ভোগ), স্বদেশী।
- তিনি এই বিশ্বাস ও নীতিবোধগুলোকে তার জীবনের দিকনির্দেশক হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
- এই দৃঢ় বিশ্বাস ও নীতিবোধের মাধ্যমে তিনি নিজেকে নীতিবান ও সৎ ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
৪) সাহস ও দৃঢ়তা:
- গান্ধীজি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও দৃঢ়চেতা ব্যক্তি।
- তিনি যা সঠিক বলে মনে করেছেন তার জন্য তিনি লড়াই করতে পিছপা করেননি, এমনকি যদি তার জন্য বিপদও হতে পারে।
- এই সাহস ও দৃঢ়তার মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন নেতা হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
৫) আত্মত্যাগ ও ত্যাগ:
- গান্ধীজি অন্যের জন্য নিজের সুখ-স্বার্থ ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন।
- তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
- এই আত্মত্যাগ ও ত্যাগের মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন মহান মানুষ হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
উপসংহার:
উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করে গান্ধীজি “আমার পথ” প্রবন্ধে নিজেকে নিজের কর্ণধার হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, কীভাবে একজন মানুষ আত্ম-অনুসন্ধান, স্বনির্ভরতা, দৃঢ় বিশ্বাস, সাহস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারে।