নাভিতে ঘা হওয়ার কারণ – নাভিতে ঘা হলে করণীয় 

আজকের পোষ্টে আপনার সাথে এই নাভিতে ঘা হওয়ার কারণ এবং নাভিতে ঘা হলে করণীয়  সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে আমাদের এই নাভিতে ঘা হওয়ার কারণ এবং নাভিতে ঘা হলে করণীয় নিইয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

নাভিতে ঘা হওয়ার কারণ

নবজাতকের ক্ষেত্রে:

  • নাভির দড়ি পড়ে যাওয়ার পর ঘা তৈরি হয়।
  • ঘাটি সঠিকভাবে পরিষ্কার না রাখলে সংক্রমণ হতে পারে।
  • ডায়াপার ঘা ঢেকে রাখলে ঘা শুকাতে দেরি হয়।
  • কিছু নবজাতকের ক্ষেত্রে, নাভির চারপাশে পেটের পেশিতে দুর্বলতা থাকে, যার ফলে হার্নিয়া হতে পারে।

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে:

  • পেটের অস্ত্রোপচারের পর ঘা তৈরি হয়।
  • স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, বা ভারী জিনিস তোলার কারণে পেটের পেশিতে চাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে হার্নিয়া হতে পারে।
  • কিছু সংক্রমণ, যেমন: যক্ষ্মা, নাভিতে ঘা হতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যা, যেমন: একজিমা বা সোরিয়াসিস, নাভিতে ঘা হতে পারে।

অন্যান্য কারণ:

  • মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ।
  • গর্ভাবস্থা।
  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

মনে রাখবেন:

  • নাভিতে ঘা হলে সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেন না।

নাভিতে ঘা হলে করণীয়:

প্রথমত:

  • ঘা পরিষ্কার রাখুন:
    • হালকা সাবান ও পানি দিয়ে দিনে দুবার ঘা ধুয়ে ফেলুন।
    • পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘা মুছে নিন।
    • ঘা শুকানোর জন্য খোলা রাখুন।
    • ডায়াপার ব্যবহার করলে, খেয়াল রাখুন যেন ডায়াপার ঘা ঢেকে না রাখে।

দ্বিতীয়ত:

  • সংক্রমণ রোধ করুন:
    • অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করুন (যেমন: নিয়োমাইসিন, বাসিট্রাসিন)।
    • ঘায়ে হাত লাগানোর আগে সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন।
    • ঘায়ে কাপড় বা ব্যান্ডেজ লাগাবেন না।

তৃতীয়ত:

  • সতর্ক থাকুন:
    • ঘা লাল, ফোলা, বেদনাদায়ক বা দুর্গন্ধযুক্ত হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
    • জ্বর, ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব, বা পেটে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
    • ঘা শুকানোর আগে সাঁতার কাটা, টাবে গোসল করা, বা ভারী জিনিস তোলা এড়িয়ে চলুন।
আরোও পড়ুনঃ   মেহেদি পাতার অপকারিতা

কিছু টিপস:

  • ঘা শুকানোর জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঘা দ্রুত শুকানোর জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন।

কখন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন:

  • ঘা 2 সপ্তাহের বেশি সময় ধরে না শুকালে।
  • ঘা লাল, ফোলা, বেদনাদায়ক বা দুর্গন্ধযুক্ত হলে।
  • জ্বর, ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব, বা পেটে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে।

মনে রাখবেন:

  • নাভিতে ঘা একটি সাধারণ সমস্যা, তবে সঠিকভাবে যত্ন না নিলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
  • উপরে উল্লেখিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করলে ঘা দ্রুত শুকাবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
  • যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেন না।

আজকের পোষ্ট পড়ার পর আশা করি সবাই আপনারা এই নাভিতে ঘা হওয়ার কারণ এবং নাভিতে ঘা হলে করণীয়  সম্পর্কে বুঝে গেছেন। এরপরেও যদি নাভিতে ঘা হওয়ার কারণ এবং নাভিতে ঘা হলে করণীয়  নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *