বঙ্গবাণী কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব

আপনি যদি বঙ্গবাণী কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আজকে এই পোষ্ট শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন। এখানে খুব সহজ ভাষায় আপনাদেরকে এই বঙ্গবাণী কবিতার ব্যাখ্যা ও বঙ্গবাণী কবিতার মূলভাব আলোচনা করা হবে।

বঙ্গবাণী কবিতার ব্যাখ্যা

নিচে আগে এই বঙ্গবাণী কবিতার ব্যাখ্যা আলোচনা করা হলো। এরপর আপনাদের সাথে আমরা এই কবিতার মূলভাবও আলোচনা করব। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

কবি: আবদুল হাকিম

রচনাকাল: ১৭শ শতাব্দী

বিষয়বস্তু:

এই কবিতায় কবি মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মহত্ত্ব ও গৌরব বর্ণনা করেছেন এবং বাংলাভাষীদের তাদের ভাষার প্রতি গর্ববোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কবিতাটির ব্যাখ্যা:

  • প্রথম চরণ: কবি বলছেন যে যারা বই পড়ার অভ্যাস করে না, তাদের মনে বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহ জাগ্রত হয় না।
  • দ্বিতীয় চরণ: কবি বাংলা ভাষায় রচনা করে সকলকে তুষ্ট করতে চান।
  • তৃতীয় চরণ: কবি আরবি ও ফার্সি ভাষার প্রতি কোন বিদ্বেষ পোষণ করেন না।
  • চতুর্থ চরণ: কবি বলছেন যে, সকলের মাতৃভাষা তাদের কাছে প্রিয়।
  • পঞ্চম চরণ: কবি বলছেন যে, যে দেশের মানুষ যে ভাষায় কথা বলে, ঈশ্বর সেই ভাষা বুঝতে পারেন।
  • ষষ্ঠ চরণ: কবি আরবি, ফার্সি, হিন্দি এবং বাংলা ভাষার সমতার কথা বলছেন।
  • সপ্তম চরণ: কবি বলছেন যে, মারফত জ্ঞানহীন ব্যক্তিরা বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে।
  • অষ্টম চরণ: কবি বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞাকারীদের জন্মের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
  • নবম চরণ: কবি বাংলা ভাষাকে ‘স্বর্গের বাণী’ বলে অভিহিত করেছেন।
  • দশম চরণ: কবি বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগীদের ‘স্বর্গের অধিকারী’ বলে মনে করেন।

উপসংহার:

বঙ্গবাণী কবিতা বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক অমূল্য নিদর্শন। এই কবিতা বাংলা ভাষার মহত্ত্ব ও গৌরব তুলে ধরে এবং বাংলাভাষীদের তাদের ভাষার প্রতি গর্ববোধ করার অনুপ্রেরণা যোগায়।

আরোও পড়ুনঃ   পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান কি (calss 7)

বঙ্গবাণী কবিতার মূলভাব

এই কবিতার মূলভাব হলো মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। কবি আবদুল হাকিম বাংলা ভাষার মহত্ত্ব ও গৌরব বর্ণনা করেছেন এবং বাংলাভাষীদের তাদের ভাষার প্রতি গর্ববোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কবিতাটির মূলভাবের সারসংক্ষেপ:

  • বাংলা ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব: কবি বলছেন যে, যারা বই পড়ার অভ্যাস করে না, তাদের মনে বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহ জাগ্রত হয় না।
  • বাংলা ভাষার মহত্ত্ব: কবি বাংলা ভাষায় রচনা করে সকলকে তুষ্ট করতে চান। তিনি আরবি ও ফার্সি ভাষার প্রতি কোন বিদ্বেষ পোষণ করেন না, তবুও মনে করেন যে বাংলা ভাষা অন্য সকল ভাষার সমান মর্যাদাপূর্ণ।
  • মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা: কবি বলছেন যে, সকলের মাতৃভাষা তাদের কাছে প্রিয়। ঈশ্বরও সকলের মাতৃভাষা বুঝতে পারেন।
  • বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা: কবি মারফত জ্ঞানহীন ব্যক্তিদের সমালোচনা করেছেন যারা বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করে।
  • বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা: কবি বাংলা ভাষাকে ‘স্বর্গের বাণী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগীদের ‘স্বর্গের অধিকারী’ বলে মনে করেন।

উপসংহার:

বঙ্গবাণী কবিতা বাংলা ভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক অমূল্য নিদর্শন। এই কবিতা বাংলা ভাষার মহত্ত্ব ও গৌরব তুলে ধরে এবং বাংলাভাষীদের তাদের ভাষার প্রতি গর্ববোধ করার অনুপ্রেরণা যোগায়।

পোষ্টটি সম্পুর্ন পড়ার পরেও যদি বঙ্গবাণী কবিতার ব্যাখ্যা ও মূলভাব বুঝতে কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে পারেন। এছাড়াও চাইলে এই পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *