আপনার বাচ্চার কি বমি হচ্ছে? কোনোভাবেই এই বমি বন্ধ হচ্ছেনা? তাহলে আপনাকে এখন এই বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া টি পড়তে হবে। সবকিছুই যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়, এই কারনে আমরা যদি আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এই বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়াটি পাঠ করি তাহলে ইনশাল্লাহ আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করবেন এবং আমাদের সমস্যা সমাধান করবেন।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া
যাইহোক চলুন এখন আমরা কথা না বাড়ীয়ে এই বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়াটি পড়া শুরু করে দেই।
আল্লাহুম্মা রাব্বান্নাসি, আযহিবিল বা’সা, ওয়াশফিল কার্বা, ওয়াশফিন মিনাল ‘আযাব, ইয়া রহমানু ইয়া রাহিম।
অর্থ: হে মানুষের প্রতিপালক আল্লাহ্! রোগ দূর করুন, দুঃখ দূর করুন, এবং যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন। হে পরম দয়ালু, হে অতি দয়ালু।
ব্যবহারের পদ্ধতি:
- সورة আল-ফাতিহা এবং সورة আল-ইখলাস তেলাওয়াত করুন।
- আল্লাহুম্মা রাব্বান্নাসি, আযহিবিল বা’সা, ওয়াশফিল কার্বা, ওয়াশফিন মিনাল ‘আযাব, ইয়া রহমানু ইয়া রাহিম। এই দোয়াটি ৭ বার পড়ুন।
- বাচ্চার মাথায় হাত রেখে দোয়া করুন।
- দোয়া করার সময় আন্তরিকতা ও মনোযোগ থাকা জরুরি।
অন্যান্য টিপস:
- বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাওয়ান।
- বাচ্চাকে হালকা খাবার খাওয়ান।
- বাচ্চাকে বিশ্রাম নিতে দিন।
- যদি বমি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাচ্চার অবস্থা খারাপ হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
দ্রষ্টব্য: এই দোয়াটি শুধুমাত্র একটি মাধ্যম। আল্লাহ্ই শুধুমাত্র রোগ নিরাময় করতে পারেন। তাই আল্লাহ্র উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখুন এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করুন।
আরেকটি বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া
দোয়া : বিসমিল্লাহিললাজি লা ইয়াযুররু মায়াসমিহি সাইউং ফিল আরজি ওলাফিস-সামায়ি। ওহুয়াস সামিউল আলিম বিসমিল্লাহিসিফাউং মিন কুল্লিদা-আ, ওকিলা ইয়া আরজুব লায়ি মা আকি ও ইয়া সামাউ আকলিয়ি ওগিজাল মাউ ওকুজিয়াল আমর্ ওয়া কি-লাল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন ফাসাইয়াক ফিকা হুমুল্লাহ……..…অহুয়াস সামিউল আলিম।
আমল করার নিয়ম
১. লেখার পদ্ধতি:
- এই দোয়াটি সাদা কাগজে অথবা কাপড়ে লিখতে হবে।
- কালি অথবা কাগজের রঙ নীল, সবুজ অথবা কালো হতে পারে।
- লেখার সময় পবিত্রতা অবলম্বন করা উত্তম।
২. ধারণ করার পদ্ধতি:
- দোয়া লেখার পর শিশুর যেকোনো হাতের বাহুতে বেঁধে দিতে হবে।
- বাহুতে বেঁধে দেওয়ার সময় সুরা ফাতিহা ও সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করা উত্তম।
- দোয়াটি পানিতে ধুয়ে শিশুকে পানি পান করানো যেতে পারে।
৩. নিয়ত:
- দোয়াটি পড়ার সময় আন্তরিকতা ও মনোযোগ থাকা জরুরি।
- সঠিক নিয়তের সাথে দোয়া করলে আল্লাহ্র রহমতে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।
৪. অন্যান্য:
- দোয়াটি বারবার পাঠ করে শিশুকে শোনানো যেতে পারে।
- শিশুর উপর ফুঁ দিয়ে দোয়াটি পড়া যেতে পারে।
দ্রষ্টব্য: এই দোয়াটি শুধুমাত্র একটি মাধ্যম। আল্লাহ্ই শুধুমাত্র রোগ নিরাময় করতে পারেন। তাই আল্লাহ্র উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখুন এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করুন।
মনে রাখবেন:
- এই দোয়াটি সকলের ক্ষেত্রে কাজ করবে না।
- শিশু যদি অসুস্থ থাকে, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
আরও তথ্যের জন্য:
- আপনার নিকটবর্তী আলেম-ওলামাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
- ইসলামী বই ও ওয়েবসাইট থেকে আরও তথ্য জানতে পারেন।
নবজাতক শিশুদের বমি: কখন চিন্তা করবেন?
নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব বা বমি করা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।
কখন চিন্তা করবেন:
- বারবার বমি: যদি আপনার শিশু বারবার বমি করে, বিশেষ করে যদি বমি তীব্র হয় বা পেটে ফোলাভাব থাকে।
- পাতলা পায়খানা: যদি বমির সাথে পাতলা পায়খানা হয়, বিশেষ করে যদি পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা যায়, যেমন কান্না না আসা, শুষ্ক মুখ ও জিহ্বা, কম প্রস্রাব ইত্যাদি।
- জ্বর: যদি বমির সাথে জ্বর থাকে, বিশেষ করে যদি জ্বর 100.4°F (38°C) এর বেশি হয়।
- রক্ত বমি: যদি বমিতে রক্ত থাকে, তা হলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- অস্বাভাবিক আচরণ: যদি আপনার শিশু অস্বাভাবিকভাবে তন্দ্রাচ্ছন্ন, বিরক্ত বা ক্লান্ত দেখায়।
- ওজন কমানো: যদি আপনার শিশু বমি করার কারণে ওজন কমাতে শুরু করে।
কিছু সম্ভাব্য কারণ:
- অতিরিক্ত খাওয়া: নবজাতকরা সহজেই বেশি খেয়ে ফেলতে পারে, যার ফলে বমি হতে পারে।
- গ্যাস্ট্রোএসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স (GERD): এটি একটি অবস্থা যেখানে পেটের অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে, যার ফলে বমি হতে পারে।
- পাইলোরিক স্টেনোসিস: এটি একটি অবস্থা যেখানে পেটের পেশীগুলি খুব শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে খাদ্য পেট থেকে ছোট অন্ত্রে যেতে বাধা পায়।
- খাদ্য অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা: কিছু খাবার নবজাতকের বমি করার কারণ হতে পারে।
- ইনফেকশন: রোটাভাইরাস, জীবাণু, এবং পরজীবী সংক্রমণ বমি করার কারণ হতে পারে।
- মস্তিষ্কের সমস্যা: কিছু বিরল মস্তিষ্কের সমস্যা বমি করার কারণ হতে পারে।
করণীয়:
- আপনার শিশুর বমির পরিমাণ ও ধরণ লক্ষ্য করুন।
- আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত তরল খাওয়ান।
- যদি আপনার শিশু বারবার বমি করে, তাহলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
চিকিৎসা:
চিকিৎসা নির্ভর করবে বমির কারণের উপর।
- অতিরিক্ত খাওয়া: ডাক্তার আপনাকে শিশুকে কম খাওয়ানোর পরামর্শ দিতে পারেন।
- GERD: ডাক্তার আপনাকে শিশুর খাওয়ানোর পরামর্শ দিতে পারেন এবং ওষুধ দিতে পারেন।
- পাইলোরিক স্টেনোসিস: অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন
তো আজকের পোষ্টটি সম্পুর্ন পড়ার পরেও যদি এই বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনার মূল্যবান মতামতের উত্তর অবশ্যই দেবো ইনশাল্লাহ।