বিটরুট দিয়ে চুল কালার করার উপায়

বিটরুট দিয়ে চুল কালো করা

বিটরুট একটি প্রাকৃতিক হেয়ার ডাই হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে যা আপনার চুলকে একটি সুন্দর লালচে বাদামী রঙ দিতে পারে। এটি রাসায়নিক হেয়ার ডাইয়ের তুলনায় নিরাপদ এবং কম ক্ষতিকর।

বিটরুট দিয়ে চুল কালো করার উপায়:

উপকরণ:

  • 2-3 টি মাঝারি আকারের বিট
  • 1 কাপ পানি
  • 1 টেবিল চামচ লেবুর রস
  • 2 টেবিল চামচ নারকেল তেল (ঐচ্ছিক)

প্রণালী:

  1. বিটগুলো ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
  2. বিটগুলো টুকরো করে কেটে নিন।
  3. একটি ব্লেন্ডারে বিট, পানি এবং লেবুর রস একসাথে ব্লেন্ড করে নিন।
  4. মিশ্রণটি একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন।
  5. আপনার চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে শুকিয়ে নিন।
  6. বিটের রস আপনার চুলের গোড়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত লাগান।
  7. চুলের সব অংশে যেন রস লাগে তা নিশ্চিত করুন।
  8. আপনার চুল একটি প্লাস্টিকের টুপি দিয়ে ঢেকে দিন।
  9. 2-3 ঘন্টা রেখে দিন।
  10. এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

কিছু টিপস:

  • আপনি চাইলে মিশ্রণে আরও 2 টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার চুলকে নরম এবং মসৃণ করতে সাহায্য করবে।
  • আপনার চুল যদি খুব হালকা রঙের হয়, তাহলে আপনি আরও গাঢ় রঙের জন্য মিশ্রণে 1-2 টেবিল চামচ কফি গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
  • বিটের রঙ আপনার চুলের রঙের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। যদি আপনি নিশ্চিত না হন যে আপনার চুলে কেমন রঙ লাগবে, তাহলে প্রথমে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে নিন।
  • বিটের রঙ স্থায়ী নয় এবং ধীরে ধীরে ধুয়ে যেতে পারে। আপনি যদি রঙটি বজায় রাখতে চান, তাহলে সপ্তাহে একবার এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।

মনে রাখবেন:

  • আপনার ত্বকে যদি কোন অ্যালার্জি থাকে তাহলে বিটরুট ব্যবহার করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • বিটের রঙ আপনার ত্বকে দাগ লাগাতে পারে। তাই চুল রাঙানোর সময় পুরোনো কাপড় এবং গ্লাভস পরুন।
  • যদি আপনার চুল রাসায়নিকভাবে ট্রিট করা থাকে, তাহলে বিটরুট ব্যবহার করার আগে একজন হেয়ার স্টাইলিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
আরোও পড়ুনঃ   গ্লিসারিন এর ক্ষতিকর দিক ও উপকারিতা

বিটরুট ছাড়াও, আপনি চুল কালো করার জন্য কফি, হেনা, ইন্ডিগো ইত্যাদি অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *