বিপদের মুখে আঠারো বছর বয়স কেমন?
ক. দুঃসাহসী
খ. দুর্বার
গ. অগ্রনী
ঘ. প্রখর
বিস্তারিত ব্যাখাঃ
সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা “আঠারো বছর বয়স” তে, আঠারো বছর বয়সকে **উদ্দাম, সাহসী, দুঃসাহসিক, অগ্রণী, এবং বিপদপ্রবণ** হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। এই বয়সের তরুণ-তরুণীরা নতুন অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের জন্য উন্মুখ থাকে, তাদের মনে থাকে না ভয়, এবং তারা যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে প্রস্তুত থাকে।
কবিতাটিতে বলা হয়েছে:
*”আঠারো বছর বয়স, মাথায় নেই ভয়।”
“এ বয়স জানে না কাঁদা।”
*”এ বয়স যেন ভীরু, কাপুরুষ নয়।”
“আঠারো বছর বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে।”
“এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।”
“আঠারো আসুক নেমে, দেশের বুকে।”
এই বয়সের তরুণ-তরুণীরা সমাজের নানা অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও এগিয়ে আসে। তারা নতুন নতুন আদর্শ বয়ে আনে এবং পুরনো রীতিনীতি ভেঙে নতুন পৃথিবী গড়ে তুলতে চায়।
তবে, এই উদ্দামতা ও সাহস অনেক সময় তাদের বিপদে ফেলতে পারে। অপরিণত বিচার-বিবেচনা ও অভিজ্ঞতার অভাবে তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত হতে পারে।
সুতরাং, সুকান্ত ভট্টাচার্য আঠারো বছর বয়সকে **শক্তি, সাহস, এবং বিপদের মিশ্রণ** হিসেবে দেখেছেন। এই বয়সের তরুণ-তরুণীদের উচিত তাদের শক্তি ও সাহসকে কাজে লাগিয়ে সমাজের জন্য ইতিবাচক কাজ করা, এবং একইসাথে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি এড়িয়ে চলা।