আপনি যদি ব্রেস্ট থেকে পানি ও ব্রেস্ট থেকে দুধ বের হওয়ার কারণ সমুহ জানতে চান তাহলে আজকের পোষ্ট আপনার জন্য। এখানে আমরা আপনাদেরকে সুন্দরভাবে এই ব্রেস্ট থেকে পানি ও ব্রেস্ট থেকে দুধ বের হওয়ার কারণ গুলো সুন্দরভাবে আলোচনা করব। তাহলে চলুন এক এক অরে
ব্রেস্ট থেকে পানি বের হওয়ার কারণ
ব্রেস্ট থেকে পানি বের হওয়া, যা “গ্যাল্যাক্টোরিয়া” নামেও পরিচিত, একটি এমন অবস্থা যেখানে একজন অ-গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলার ব্রেস্ট থেকে দুধের মতো তরল নিঃসরণ হয়।
গ্যাল্যাক্টোরিয়ার কিছু সম্ভাব্য কারণ:
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: প্রোল্যাক্টিন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রার ভারসাম্যহীনতা গ্যাল্যাক্টোরিয়ার কারণ হতে পারে।
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিসাইকোটিক্স, এবং হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির ওষুধ, গ্যাল্যাক্টোরিয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে।
- পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার: পিটুইটারি গ্রন্থি প্রোল্যাক্টিন নিয়ন্ত্রণ করে, এবং এই গ্রন্থিতে টিউমার থাকলে অতিরিক্ত প্রোল্যাক্টিন নিঃসৃত হতে পারে যা গ্যাল্যাক্টোরিয়ার কারণ হতে পারে।
- থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা: হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের অভাব) গ্যাল্যাক্টোরিয়ার কারণ হতে পারে।
- বুকের আঘাত: কিছু ক্ষেত্রে, বুকের আঘাত গ্যাল্যাক্টোরিয়ার কারণ হতে পারে।
- অজানা কারণ: কিছু ক্ষেত্রে, গ্যাল্যাক্টোরিয়ার কোন স্পষ্ট কারণ পাওয়া যায় না।
গ্যাল্যাক্টোরিয়ার লক্ষণ:
- ব্রেস্ট থেকে দুধের মতো তরল নিঃসরণ
- ব্রেস্টে গোটা বা ব্যথা
- নিপেলের কোমলতা
- অনিয়মিত মাসিক
- মাথাব্যথা
- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা
যদি আপনার ব্রেস্ট থেকে পানি বের হওয়ার লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার গ্যাল্যাক্টোরিয়ার কারণ নির্ণয় করতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।
চিকিৎসা:
গ্যাল্যাক্টোরিয়ার চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে, কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য ক্ষেত্রে, ওষুধ, সার্জারি, বা অন্যান্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
মনে রাখবেন, এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং কোনো চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনো উদ্বেগ থাকলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ব্রেস্ট থেকে দুধ বের হওয়ার কারণ
ব্রেস্ট থেকে দুধ বের হওয়ার কারণ নির্ভর করে বয়স, গর্ভাবস্থা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত কারণের উপর।
সম্ভাব্য কিছু কারণ নীচে দেওয়া হল:
1. স্তন্যপায়: স্তন্যপায় হল স্তনে পুঁজ জমা হওয়ার একটি অবস্থা যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে হয়। এটি স্তনে ব্যথা, লালভাব, ফোলাভাব এবং পুঁজ বের হওয়ার লক্ষণগুলির সাথে থাকে।
2. অ্যাবসেস: অ্যাবসেস হল পুঁজ, জীবাণু, মৃত কোষ এবং অন্যান্য টিস্যুর একটি সংগ্রহ যা শরীরে যেকোনো জায়গায় তৈরি হতে পারে। স্তনেও অ্যাবসেস হতে পারে, যা ব্যথা, লালভাব, ফোলাভাব এবং পুঁজ বের হওয়ার কারণ হতে পারে।
3. মাস্টিটিস: মাস্টিটিস হল স্তনের প্রদাহ, যা প্রায়শই স্তন্যদানের সময় হয়। এটি স্তনে ব্যথা, লালভাব, ফোলাভাব এবং জ্বরের কারণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, স্তন থেকে পুঁজও বের হতে পারে।
4. নালীচলা বিস্তার: নালীচলা বিস্তার হল স্তনের নালীগুলিতে প্রসারিত হওয়া যা পুঁজ জমা হতে পারে। এটি স্তনে গোলাকার নোডুল বা ফোঁড়া, স্তনপ্রস্রাব, এবং কিছু ক্ষেত্রে, স্তন থেকে পুঁজ বের হওয়ার কারণ হতে পারে।
5. গ্যালেক্টোরিয়া: গ্যালেক্টোরিয়া হল একটি অবস্থা যেখানে একজন গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীর স্তন থেকে গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানের সময় ছাড়াও দুধ বের হয়। এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
6. প্রোল্যাক্টিনোমা: প্রোল্যাক্টিনোমা হল মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থিতে একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যা প্রোল্যাক্টিন হরমোনের অতিরিক্ত উৎপাদন ঘটায়। প্রোল্যাক্টিনের উচ্চ মাত্রা গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানের বাইরেও দুধের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে।
7. ঔষধ: কিছু ঔষধ, যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যান্টিসাইকোটিক, স্তন্যপায়ের কারণ হতে পারে।
8. স্তনের আঘাত: স্তনের আঘাত, যেমন একটি আঘাত বা অস্ত্রোপচার, স্তন্যপায়ের কারণ হতে পারে।
মনে রাখবেন: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং কোনও চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প হিসাবে নয়। আপনার স্তন থেকে দুধ বের হওয়া সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা উদ্বেগ থাকে তাহলে দ্রুত একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে সক্ষ